বলছিলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের দিঘি চাঁনপুর গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৩)’র কথা।
তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও লোক-লজ্জা আর সন্তানদের কথা চিন্তা করে অনেক পরিবার নীরবে সয়ে গেছে। এছাড়া রয়েছে ধর্ষক নজরুলের পক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীদের হুমকি, ধমকি।
জানা গেছে ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামিলীগের আমলে স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের শেল্টারে চালিয়েছে এসব অসামাজিক কর্মকান্ড। টাকা আর নেতাই যেন তার শক্তি। বর্তমানেও কোন দলীয় সরকার না থাকায় বিএনপির প্রভাব গিয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্ষক নজরুলের পক্ষে। এসব নেতাদের ম্যানেজ করেই ধর্ষণ চালিয়েছে একের পর এক।
সরেজমিনে গিয়ে নজরুল ইসলামের বোন শামীমা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যা রটে কিছুত ঘটেই। ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন। এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি। আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। তবে আপনারা যে বিষয়ে এসেছেন তা কিছুদিন আগে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত নিয়ে মীমাংসা হয়ে গেছে। আমার ভাই পরবর্তীতে যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটায় তাহলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
এর আগে ধর্ষণের স্বীকার ১৩ বছর বয়সী কিশোরীর পরিবার সাথে কথা হয়, তারা বলেন আমার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে লম্পট নজরুল। এর আগেও কয়েক মেয়ের সাথে এ ধরনের কার্যকলাপ চালিয়েছে। মীমাংসার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার চাচা মো: আইয়ুব আলী তার মাধ্যমে এই মীমাংসা হয়েছে। মিমাংসায় টাকা পয়সা লেনদেনে হয়েছে কিনা? আমাদের কোন টাকা পয়সা দেয়নি। আমরা কোন টাকা পয়সা পাইনি। তাহলে কেন মীমাংসা হলেন? আমার কোন বড় ভাই নেই ধর্ষকের বিপক্ষে কথা বলার কেউ নেই। বাবা অসুস্থ। আমার বড় চাচা এই মীমাংসা করেছেন।
মো: আইয়ুব আলী বলেন, সোনারগাঁ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেলের ভাই সোহেল আমাকে ফোন করে বলে তারা আমার আত্মীয় বিষয়টি না বাড়িয়ে মীমাংসা করে দেন। তাদের চাপাচাপিতে আমি এই মীমাংসা করতে বাধ্য হই। তবে ধর্ষকের শাস্তি হোক।
বিএনপি নেতা সোহেল বলেন, আমাদের নাম বিক্রি করেছে তারা। তারা আমার আত্মীয় না। আর ধর্ষণের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন বলেন, এ বিষয়টি আমি শুনেছি। ধর্ষিতার পরিবার আমার কাছে আসেনি। তবে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিৎ।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।